লেখক - মীর এ বি এম জাকির হোসেন
বইটির মূল্যঃ ৳৩৪০ (তিনশত চল্লিশ টাকা)
বইয়ের সাথে আছে - অনলাইন সিডি
প্রাপ্যতাঃ বইটি ষ্টকে আছে
ডিজিটাল হোম সিকিউরিটি
ইন্টেলিজেন্ট লক ডিজাইন
এনালগ টু ডিজিটাল কনভার্টার
মোবাইল ফোন দিয়ে কন্ট্রোল সার্কিট
ডিজিটাল সিষ্টেম দিয়ে এসি সিষ্টেম কন্ট্রোল
ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং আরো দশটি সার্কিট
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচীতে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কারন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সমূহ ব্যবহার করি তার অধিকাংশই ডিজিটাল লজিক ব্যবহার করে কাজ করে। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সকে ভালোভাবে জানার মাধ্যমে আমরা অনেক আধুনিক ডিভাইস সহজে ডিজাইন এবং নির্মান করতে পারি। কিন্তু শুধুমাত্র থিওরী জানার মাধ্যমে প্রকৌশলের কোন বিষয়কে পুরোপুরী জানা সম্ভব হয়না। কোন বিষয়কে ভালোভাবে জানার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, সেই বিষয়ের উপর কোন সমস্যা সমাধান করা, কোন প্রজেক্ট নির্মান করা। আর আমাদের প্রকৌশল পাঠ্যক্রমের উদ্দেশ্যই হচ্ছে, আমাদের জীবনকে সহজ করতে পারে এমন ডিভাইস নির্মান। এই উদ্দেশ্যকেই সামনে রেখে, ইলেকট্রনিক্স সিরিজের, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বইটি লেখা। ইলেকট্রনিক্স সিরিজের অন্য বইগুলোর মতো, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বইটিও প্রজেক্ট নির্ভর। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বইতে, অসংখ্য ছোট বড় প্রজেক্ট নির্মানের মাধ্যমে পাঠককে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের বেসিক বিষয় থেকে শুরু করে এডভান্স বিষয় সর্ম্পকে ধারনা দেয়া হয়েছে। বইতে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের সিলেবাসকে কয়েকটি মূলভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই মূলভাগকে অনেকগুলো ক্ষুদ্রভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই ক্ষুদ্রভাগের প্রতিটি ভাগের থিওরী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং সাথে সাথে ব্যবহারিক সংযুক্ত করা হয়েছে। বইটি ব্যবহার করে পাঠক ইলেকট্রনিক্সের থিওরী সর্ম্পকেই নয়, এই থিওরী ব্যবহার করে প্রয়োজনুসারে সার্কিট ডিজাইন এবং নির্মান করা সম্ভব তা জানবেন। বইয়ের সাথে সিডিতে সিম্যুলেশন সফটওয়ার সংযুক্ত করা হয়েছে। বইয়ের থিওরী ও সিম্যুলেশন ব্যবহার করে কম্পিউটরে সার্কিট নির্মানের মাধ্যমে পাঠক ডিজিটাল সিষ্টেম ডিজাইন সর্ম্পকে ধারনা পাবেন এবং কম্পোনেন্ট বক্স ব্যবহার করে সার্কিট নির্মানের মাধ্যমে, পাঠক সার্কিট নির্মানের বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।
প্রজেক্ট নির্মানের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্সের থিওরী শিখুন
ইলেকট্রনিক্স সিম্যুলেটরে সার্কিট ডিজাইন করুন
সিম্যুলেশন ব্যবহার করে সার্কিট পরীক্ষা করুন
ইলেকট্রনিক্স জগতে নতুনদের জন্য বিশেষভাবে লেখা
v “হাতে কলমে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স” বইটিতে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের তত্বকথা বা থিওরী সর্ম্পকে আলোচনা করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স সার্কিট ডিজাইনের জন্য যে তত্বজ্ঞান প্রয়োজন তা বইয়ের শুরুতেই আলোচনা করা হয়েছে। এই তত্বজ্ঞান বা থিওরী থেকে, কিভাবে সার্কিট কাজ করছে বা পার্টস সমূহের ভিতরে কিভাবে বিদ্যুত প্রবাহিত হচ্ছে এবং কিভাবে সার্কিট ডিজাইন করলে তা আরো ভালোভাবে কাজ করবে, এরকম অনেক বিষয় সর্ম্পকে পাঠক জানতে পারবেন।
v প্রতিটি বিষয়ের সাথে প্রয়োজনীয় উদাহরন, অংক, চিত্র, টেবিল ইত্যাদি সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
v ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট বা উপকরন সমূহ নিয়ে বইতে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি কম্পোনেন্ট দেখতে কেমন, কি কি মানে এগুলো বাজারে থাকে, কিভাবে এদের চিনতে হয়, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়; তা নিয়ে চিত্রসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
v বইয়ের সাথের সিডিতে ইলেকট্রনিক্স সিম্যুলেশেন সফটওয়ার ‘মাল্টিসিম’ সংযুক্ত করা হয়েছে। তত্বজ্ঞান এবং সার্কিট কম্পোনেন্ট সর্ম্পকে জানার পর, কিভাবে কম্পিউটর সফটওয়ার ব্যবহার করে সার্কিট ডিজাইন করা সম্ভব এবং সার্কিট সিম্যুলেশন করা সম্ভব সে সর্ম্পকে আলোচনা করা হয়েছে।
v পাঠক যেন বইয়ের বিষয় সমূহ সর্ম্পকে বাস্তব জ্ঞানলাভ করতে পারে, সেজন্য বইয়ের সাথে বক্সে প্রয়োজনীয় পার্টস এবং অনান্য উপকরন সংযুক্ত করা হয়েছে। বইয়ের ভিতরে তত্বকথা জানা এবং সিম্যুলেশন সফটওয়ারে সার্কিট ডিজাইনের পর, এই সব পার্টস ব্যবহার করে কিভাবে সত্যিকার সার্কিট নির্মান করা যায় তার অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।
v কোন পাঠক যখন ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে কোন বই পড়ে এবং দেখতে পায় বইতে তেমন কোন প্রাকটিক্যাল তথ্য নেই; তখন খুব শীঘ্রই তার আগ্রহ কমে যায়। ‘হাতে কলমে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স’ বইটিতে পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য এবং পাঠককে আনন্দের সাথে ইলেকট্রনিক্স শেখানোর জন্য, মজার সব সার্কিট তৈরী করা হয়েছে। সাথে সাথে এই সব সার্কিট তৈরীর উপকরন বইয়ের সাথে বক্সে সরবরাহ করা হয়েছে।
v হাতে কলমে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বইটিত অনেক বাস্তবধর্মী বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছে। যেমন কিভাবে সার্কিট আকতে হয়, কিভাবে কম্পিউটরে সার্কিট সিম্যুলেশন করা হয়, কিভাবে সার্কিট বানাতে হয়, সার্কিট নির্মানের সময় কি সাবধানতা অবল্মবন করতে হয় এরকম আরো অনেক কিছু।
বর্তমান আধুনিক সভ্যতার উৎকর্ষতায় যেসব নিয়ামক কাজ করছে, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স তার অন্যতম। আজকের দিনে সার্কিট সমূহকে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (Integrated Circuit) বা আই.সি হিসাবে তৈরী করা হয়। এ ব্যবস্থায় বিশালাকার একটি সার্কিটকে ছোট একটিচিপের মধ্য পুরে দেয়া হয় এবং এই ক্ষুদ্রাকার চিপটি অনেক জটিল কাজ সম্পাদন করতে পারে। ‘হাতে কলমে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স’ বইটির প্রধান লক্ষই হচ্ছে, পাঠককে আধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স জগতের বেসিক সর্ম্পকে ধারনা দেয়া এবং ডিজিটাল সার্কিট নির্মানের ব্যবহারিক দিক সমূহ সর্ম্পকে অবহিত করা। স্বভাবতই, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স জগতের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। আর একারনেই ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স সর্ম্পকিত অধিকাংশ বই সমূহ, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স এর সকল বিষয় সর্ম্পকে পাঠককে ধারনা দিতে সচেষ্ট থাকে। অল্প পরিসরে বর্নিত এই সকল বিষয় সমূহ আমাদের পরীক্ষায় পাশের জন্য সহায়ক হলেও, নিত্যদিনের সার্কিট নির্মানে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবহারিক প্রয়োগ সর্ম্পকে ধারনা দেয় না। তাই আমাদের মস্তিষ্ক পরীক্ষার খাতায় লেখার আগ পর্যন্ত বিষয়বলী মনে রাখে এবং পরীক্ষা শেষ হবার পরেই যত দ্রুত সম্ভব তা ভূলে যায়।
‘হাতে কলমে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স’ বইতে, পাঠককে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স এর থিওরী জ্ঞান লাভের পাশাপাশি এর ব্যবহারিক প্রয়োগ সর্ম্পকেও সম্যক ধারনা প্রদান করে। এই বইতে পাঠককে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স জগতের পাঠ্যসূচীর অংশ হিসাবে প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রদান করে এবং প্রয়োজনীয় এই থিওরীর ব্যবহার করে কিভাবে সার্কিট নির্মান করা যায় তা আলোকপাত করে। এরপর, বইয়ের সাথে সংযুক্ত সার্কিট সিম্যুলেশন সফটওয়ার ব্যবহার করে কিভাবে ডিজিটাল সার্কিটের সিম্যুলেশন তৈরী করা যায় তা বর্ননা করে এবং সর্বশেষে বইয়ের সাথে সংযুক্ত পার্টস- কিট ব্যবহার করে পাঠক প্রয়োজনীয় সার্কিট নির্মান করতে পারেন। এভাবে পাঠক ধাপে ধাপে, বই থেকে প্রাপ্ত থিওরী জ্ঞানকে বাস্তব সার্কিট নির্মানে প্রয়োগের মাধ্যমে “হাতে কলমে ডিজিটাল সার্কিট নির্মান” এর অভিজ্ঞতা লাভ করেন। হাতে কলমে অর্জিত শিক্ষা পাঠকের মস্তিষ্কে গুঢ়ভাবে রোপিত হয় এবং ফলস্বরুপ, অর্জিত এই জ্ঞানকে পাঠক নিজস্ব পরিমার্জনের মাধ্যমে বহুমূখী কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
এই বইটি ইলেকট্রনিক্স জগতে নবীনদের ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স সহজে শিখতে সাহায্য করবে। যাদের ইলেকট্রনিক্স সর্ম্পকে ইতিপূর্বে কোন ধারনা নেই, কিন্তু ইলেকট্রনিক্স সর্ম্পকে জানতে আগ্রহী এবং বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট নির্মান করতে চান; তাদের জন্য বিশেষভাবে বইটি লেখা হয়েছে। সাথে সাথে যেসব পাঠক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশলে কোর্স করছেন এবং তত্বজ্ঞান বা থিওরীর পাশাপাশি, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স এর প্রাকটিক্যাল বিষয় সমূহ জানতে আগ্রহী তারাও বইটি ব্যবহার করে লাভবান হবেন। এছাড়াও যারা ইলেকট্রনিক্স সর্ম্পকে অভিজ্ঞ, তারা এই বইকে একটি রেফারেন্স বই হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। যদি এই বইটি ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক্স শেখা কিছুটা হলেও সহজ হয়; তবেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।