STEM SCHOOL
বইটির মূল্যঃ ৳190 (একশত নব্বই টাকা)
প্রাপ্যতাঃ বইটি ষ্টকে আছে
আজকের বিশ্বে পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী বাহনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইলেকট্রিক ভেহিকল বা ইভি (EV) মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, কেন আপনি নিজেই একটি ইলেকট্রিক ভেহিকল তৈরি করবেন?
নিজের হাতে তৈরি ইভি শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য ভালো নয়, বরং এটি আপনাকে হাতে-কলমে প্রযুক্তি শেখার দুর্দান্ত সুযোগ করে দেয়। আপনি চাইলে নিজের গ্যারেজেই এই প্রকল্প শুরু করতে পারেন, যা ভবিষ্যতে ব্যবসা হিসেবে গড়ে তুলতেও সক্ষম হবেন। পাশাপাশি, নিজের হাতে তৈরি ইভি আপনাকে আত্মবিশ্বাস দিবে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতাও বাড়াবে।
প্রথমত, বাজারে ইলেকট্রিক ভেহিকলের দাম অনেক বেশি। তাই নিজের তৈরি বাহন ব্যয় কমিয়ে আনবে এবং আপনি যন্ত্রাংশগুলো কাস্টমাইজ করার সুযোগও পাবেন।
দ্বিতীয়ত, এই প্রক্রিয়ায় আপনি ব্যাটারি প্রযুক্তি, মোটর নিয়ন্ত্রণ, পাওয়ার ড্রাইভ, এবং বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনিয়ারিং– এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।
তৃতীয়ত, এটি আপনার জন্য আয়ের নতুন সুযোগও তৈরি করতে পারে। আপনি যদি দক্ষ হয়ে যান, তাহলে গ্যারেজে ছোট পরিসরে গ্রাহকদের জন্য কাস্টম ইভি বানানো শুরু করতে পারবেন।
নিজের তৈরি ইলেকট্রিক ভেহিকল প্রকল্পের মাধ্যমে আপনি যেমন প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করবেন, তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাও পাবেন।
পরিবেশ বান্ধব: ইভি পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ করে না।
কম খরচ: ফুয়েল কস্ট নেই, বিদ্যুৎ ব্যয়ও কম।
সহজ মেইনটেন্যান্স: ইভির যন্ত্রাংশ কম হওয়ায় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ।
বিক্রির সুযোগ: নিজের তৈরি যান বাজারে বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব।
ইলেকট্রিক ভেহিকল তৈরির আগে আপনাকে জানতে হবে এর প্রধান অংশগুলো সম্পর্কে। এখানে প্রতিটি অংশের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো –
নিজের তৈরি ইলেকট্রিক ভেহিকল প্রকল্প কেবল একটি শখ নয়, বরং এটি হতে পারে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধির হাতিয়ার এবং ভবিষ্যতের আয়ের পথ। আপনি যদি এই কাজ শুরু করেন, তাহলে আপনি প্রযুক্তি শিখে নিজের ক্যারিয়ারও তৈরি করতে পারবেন। আজই পরিকল্পনা শুরু করুন — হয়তো আপনার তৈরি ইভিই হতে পারে আপনার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ।